পরে এলজিআরডিএ প্রতিমন্ত্রী স্বপন কুমার ভট্টাচার্য নিজেও মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদেরকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার কোনো অন্যায়কারীর মুখ চিনে বিচার করে না, এটা এখন চিরন্তন সত্য। ফলে এসিল্যান্ডের কর্মকান্ডের উপযুক্ত বিচার জনপ্রশাসন করবে। ঘটনাটি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তাৎক্ষনিকভাবে প্রাথমিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে, করোনা যেহেতু বৈশ্বিক মহামারি, এজন্য সকলেই সরকারি আদেশ মেনে চলবেন। এতে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে নিজের এবং পরিবার-পরিজনের জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
এর আগে, শুক্রবার (২৭ মার্চ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে মাস্ক না পরায় তিন প্রবীণ নাগরিককে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান। একইসঙ্গে নিজের মোবাইল ফোনে তাদের ছবি ধারণ করেন তিনি। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এরপর শনিবার (২৮ মার্চ) অভিযুক্ত এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহার করা হয়। এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বাংলানিউজকে বলেন, সিনিয়র সিটিজেনের সঙ্গে এমন ধরনের আচরণ অমানবিক। তাই সংশ্লিষ্ট ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) তাদের (প্রবীণদের) বাড়িতে যাবেন, তাদের ‘সরি’ বলবেন। তাদের খাবার, মাস্কসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে আসবেন।
তবে এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসানের তাদের বাড়িতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই জানিয়ে সচিব বলেন, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়াও দেশের সব জেলা প্রশাসককে বলেছি, এমন ধরনের আচরণ যেন আর কারও সঙ্গে না করা হয়। করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
Leave a Reply