মালয়েশিয়ার আইনজীবীদের সংগঠন লইয়ারস ফর লিবার্টি-এলএফএল বলছে, রায়হানের বিপক্ষে যেভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা নিপীড়নমূলক। এলএফএল বলছে, তারা আল জাজিরার প্রতিবেদনটা দেখেছে। এই প্রতিবেদনে রায়হানের বক্তব্যটি তারা তলিয়ে দেখেছেন। সেখানে খুব সূক্ষ্মভাবে বিচার করলেও মালয়েশিয়ার আইনের কোনওরকম লঙ্ঘন ঘটেনি। এখানে কেবল অভিবাসীদের উপর দুর্ব্যবহারের ব্যাপারে তার হতাশার কথা ব্যক্ত করেছিলেন রায়হান। এলএফএল বলছে, যেভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এবং ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করেছে সেগুলো অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর ৯(১) (সি) ধারার পরিপন্থী, অর্থাৎ অনথিভুক্ত। কারণ কেউ যদি রাষ্ট্রবিরোধী কোন কিছু বলে তবেই কারও ওয়ার্ক পারমিট বাতিল হতে পারে। কিন্তু রায়হান এমন কিছু বলেনি। কাজেই তার বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে এই সাজা কিছুতেই টিকবে না। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সরকার অভিবাসীদের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিতে চায় যে কেউ যেন প্রতিবাদ না করে। অন্যদিকে আল জাজিরা বলছে, রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। তারা এই ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে বলেছে। আল জাজিরা বলছে, মালয়েশিয়া তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে যে এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন শুরুর আগে তাদের অনুমতি নেয়া হয়নি বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটিও অকার্যকর। কারণ আল জাজিরার এমন প্রতিবেদন করতে কোন অনুমতির দরকার নেই। কাজেই এই ধরনের হয়রানি বন্ধ করা উচিত।
Leave a Reply