কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না? তা জানতে পরীক্ষার কিটসই নেই রাজশাহীতে। শরীরের তাপমাত্রা জানতে নেই থার্মাল স্ক্যানারও। স্বতন্ত্র করোনা ইউনিট চালু ও কমিটি গঠন ছাড়া রাজশাহীতে তেমন কোনো জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম নেই প্রশাসনের। এ অবস্থায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন নগরবাসী।
এদিকে দু’একটি রাজনৈতিক সংগঠন ছিন্নমূল মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে প্রচারণা শুরু করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও নগরীতে কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা থার্মাল স্ক্যানার এবং কিটসের জন্য আবেদন করছি। হয়তো আমরা খুব শিগগিরই পেয়ে যাব।’ তিনি বলেন, ‘একটু সচেতনতার পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই জনসমাগম এড়িয়ে চলার পাশাপাশি জ্বর, হাঁচি বা কাশি হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।’
অন্যদিকে করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উপজেলা পর্যায়ে আলাদা একটি কমিটি সঙ্কট উত্তরণে কাজ করবে। আর প্রয়োজন হলে রাজশাহীর তিনটি স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু সচেতনতামূলক কার্যক্রম নেই।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, ‘বিদেশি ও দেশের বাইরে থেকে আসা মানুষগুলোর ওপর নজরদারি বাড়িয়েছেন তারা। বিদেশ ফেরতদের প্রাথমিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে, যদি মনে হয় কাউকে আইসোলেশনে রাখতে হবে তাহলে তাকে আইসোলেশনে রাখারই ব্যবস্থা করা হবে।’
Leave a Reply