চীনের বেইজিং বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। রাজধানী বেইজিংয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে তাদের কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হবে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, চীনে স্থানীয়ভাবে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির চেয়ে বাইরে থেকে আসা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ চীন থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল। এ কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চীন থেকে আসা ব্যক্তিদের বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করেছে। এখন চীনে এ ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু ছড়িয়ে গেছে সারা বিশ্বে। ফলে পরিস্থিতি এখন উল্টে গেছে বলা যায়। আজ রোববার দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন (এনএইচসি) জানিয়েছে, গতকাল শনিবার দেশটিতে নতুন ২০ জন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১১ জন বেশি। এই নতুন ২০ আক্রান্তের মধ্যে ১৬ জনই চীনের বাইরে থেকে আসা। এর মধ্যে বেইজিংয়ে শনাক্ত হওয়া পাঁচজন আক্রান্ত ব্যক্তির তিনজনই এসেছিলেন স্পেন থেকে। বাকি দুজনের একজন ইতালি ও অন্যজন থাইল্যান্ড থেকে এসেছিলেন।
এ অবস্থায় চীন সরকার বলেছে, বিদেশ থেকে আসা যেকোনো ব্যক্তিকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কোয়ারেন্টিন পাঠানো হবে ১৪ দিনের জন্য। এ কার্যক্রম আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হবে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় হওয়া যাবতীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বহন করতে হবে বলেও জানিয়েছেন বেইজিং নগরীর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল চেন বেই।
চেন বেই জানিয়েছেন, কঠোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কিছু ব্যক্তিকে হয়তো নিজ ঘরে কোয়ারেন্টিন থাকার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। আর যারা রোগ গোপন করবে এবং মহামারি ছড়িয়ে পড়তে সহায়ক ভূমিকা নেবে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। তবে এ বিষয়ে তিনি আর বিস্তারিত কিছু জানাননি।
Leave a Reply