ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর স্বাস্থ্য ছাড়পত্র নিয়ে দেশে ফিরেছেন ২৩ বাংলাদেশি। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা গেছে, কেউ করোনা ভাইরাস থেকে সৃষ্ট ‘কোভিড-১৯’ রোগে আক্রান্ত নন। তাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তবে এক শিশুসহ একটি পরিবারও রয়েছে।
দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল চেক আপ করা হয় এবং তাদের কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। তাই দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, চীনের হুবেই প্রদেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে আটকা পড়া এই বাংলাদেশিদের গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সঙ্গে দিল্লিতে আনা হয় এবং নয়াদিল্লির উপকণ্ঠে চাহালায় কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পে রাখা হয়। বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে আসার পর দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় তারা ইন্ডিগো ফ্লাইটে দ্রুত দেশে ফিরলেন।
ঢাকায় ফেরার পথে সকালে ইন্দিরাগান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বাংলাদেশিদের বিদায় জানান এবং তাদের এই কঠিন পরিস্থিতি অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য ধন্যবাদ জানান। শিক্ষার্থীরা এ সময় বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহযোগিতা এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য দিল্লি ও বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রবাসীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বাংলাদেশ।
Leave a Reply