হাতে কোয়ারেন্টিন সিল দেখে শনিবার দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এক দম্পতিকে নামিয়ে এনে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। সহযাত্রীরা স্বামীর হাতের উপর নির্ধারিত সিল দেখে রেলওয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়। এরপর পুলিশ তাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে আনে।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে বিদেশ থেকে দেশে ফিরলেই বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে এমন সিল মেরে দেওয়া হচ্ছে শরীরে। বিদেশফেরত অনেককেই কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর পর নিয়ম লঙ্ঘন করে। এরপরই সরকার এমন ব্যবস্থা নেয়।
শনিবার সকালে দিল্লির ওই দম্পতি সেকান্দারবাদে বেঙ্গালুরু সিটি থেকে নয়াদিল্লি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছিলেন। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনটি যখন তেলঙ্গানার কাজিপেটে পৌঁছে তখন এক সহযাত্রী ওই ব্যক্তির হাতে কোয়ারেন্টিন সিল দেখতে পায়। পরে কর্তৃপক্ষ এসে দেখতে পায় শুধু স্বামীর হাতে নয়, মহিলাটির হাতেও হোম কোয়ারেন্টিন সিল আছে।
জাতীয় পরিবহন সংস্থা জানিয়েছে, তাদের সহযাত্রীরা ট্রেনের টিটিইকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে ট্রেনটি থামিয়ে ওই দম্পতিকে আটক করা হয়। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ট্রেনটি কাজিপেটেই পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা হরা হয়ছে। পরে ১১ টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি পুনরায় দিল্লির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশেরও বিদেশফেরত যাত্রীদের হাতে কোয়ারেন্টিন সিল মেরে দেওয়া হচ্ছে। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সব বিদেশফেরত যাত্রীর হাতে সিল মারা হচ্ছে। বিমানবন্দরসহ দেশে প্রবেশের সব পথেই বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের হাতে অমোচনীয় কালিযুক্ত সিল মেরে হোম কোয়ারেন্টিনড প্রবাসীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বিমানবন্দরে অবতরণ করা প্রবাসীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে এমন সিল মেরে দেওয়ার কার্যক্রম শুক্রবার (২০ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে। ঢাকায় হযরত শাহজালাল, সিলেটের এমএজি ওসমানী ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং দেশের স্থলবন্দরগুলোয় ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে এই সিল মারার কাজ করা হচ্ছে। সিলের প্রথম অংশে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে ‘প্রাউড টু প্রটেক্ট বাংলাদেশ’। এরপর হোম কোয়ারেন্টিন আনটিল’ লিখে কোয়ারেন্টিনে থাকার সর্বশেষ তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
Leave a Reply